অ্যাপেন্ডিক্স বা এপেন্ডিসাইটিস এর ব্যথা কিনা বুঝে নিন ৭ লক্ষণে
এই পোস্টের সূচিপত্রঃ অ্যাপেন্ডিক্স বা এপেন্ডিসাইটিস এর ব্যথা
কিনা বুঝে নিন ৭ লক্ষণে
- এপেন্ডিসাইটিস বা অ্যাপেন্ডিক্স কী
- এপেন্ডিসাইটিস বা অ্যাপেন্ডিক্স এর ব্যথা কিনা বুঝে নিন ৭ লক্ষণে
- এপেন্ডিসাইটিস বা অ্যাপেন্ডিক্স কেন হয়
- এপেন্ডিসাইটিস বা অ্যাপেন্ডিক্স হলে করনীয় কী
- এপেন্ডিসাইটিস বা অ্যাপেন্ডিক্স এর লক্ষণ
- এপেন্ডিসাইটিস বা অ্যাপেন্ডিক্স হলে কি খাওয়া উচিত
- এপেন্ডিসাইটিস বা অ্যাপেন্ডিক্স এর ব্যথা কমানোর উপায়
- এপেন্ডিসাইটিস বা অ্যাপেন্ডিক্স এর পরীক্ষা
- এপেন্ডিসাইটিস বা অ্যাপেন্ডিক্স এর ঔষধ
- এপেন্ডিসাইটিস বা অ্যাপেন্ডিক্স অপারেশন খরচ
- এপেন্ডিসাইটিস বা অ্যাপেন্ডিক্স অপারেশনের পর কি খাওয়া যায়
- লেখকের শেষ কিছু কথা
এপেন্ডিসাইটিস বা অ্যাপেন্ডিক্স কী
এপেন্ডিসাইটিস হলো একটি একটি আক্রান্তস্থানের প্রদাহ যা মূলত এপেন্ডিক্স নামক অংশের আক্রান্ততা বোঝায়। এপেন্ডিক্স হলো মানব শরীরের ছোট একটি বস্তু যা সাধারণত পাচনতন্ত্রের একটি অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়। যখন এপেন্ডিক্সে সংক্রান্ত কোনও সমস্যা দেখা যায়, তখন এই অংশে আক্রান্তিসূচক প্রতিক্রিয়া উদ্ভব হয়। এপেন্ডিসাইটিসের প্রধান লক্ষণ হলো পেটের ডানদিকে অথবা নাভিতে আবির্ভাব হওয়া ব্যাথা।
এই ব্যথা সাধারণত হালকা শুরু হয়, তবে এটি পরিবর্তনশীল হতে পারে এবং প্রগ্রেস করে যেতে পারে। অতিসক্রিয় হালকা অথবা শারীরিক প্রস্রাবণ সাথে ত্রুটির ক্ষেত্রে হাসপাতালে চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে। এছাড়াও, এপেন্ডিসাইটিসের অন্যান্য লক্ষণ হতে পারে জ্বর, ক্ষুধা বা বমি এবং তীব্র পেটের ব্যাথা বা ব্যথা যা সাধারণত অবস্থার সাথে তালমিল রয়েছে।
এপেন্ডিসাইটিস সাধারণত একটি চিকিত্সায়ক প্রতিক্রিয়া যা হলেও প্রাসঙ্গিক চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে যেমন এপেন্ডেক্টোমি, যা এপেন্ডিক্সের সংক্রান্ত অংশটি মুছে ফেলতে পারে। এছাড়াও, যদি আক্রান্তি উত্তপ্ত হয় এবং এপেন্ডিক্স ভেঙ্গে যায়, তবে অত্যন্ত গম্ভীর সমস্যার জন্য অত্যন্ত চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে। সাধারণত, এপেন্ডিসাইটিস সাধারণত কোনও গুরুতর সমস্যার কারণ হয় না, তবে এটি অসুস্থতা ও আক্রান্ত অবস্থায় অস্বস্তির কারণ হতে পারে, এবং যে কেউ যত্ন নেওয়ার জন্য তা সময়ে চিকিৎসা নিতে পারে।
এপেন্ডিসাইটিস বা অ্যাপেন্ডিক্স এর ব্যথা কিনা বুঝে নিন ৭ লক্ষণে
এপেন্ডিসাইটিসের সংক্রান্ত সাতটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হলো:
- পেটের ডান দিকে ব্যাথা: এপেন্ডিসাইটিসের প্রাথমিক লক্ষণ অক্সিজেনের অনুপস্থিতি বা অ্যাপেন্ডিক্সের সংক্রমণ দ্বারা পেটের ডান দিকে ব্যাথা হতে থাকে। এই ব্যথা প্রায়ই নাগাদ শুরু হয় এবং প্রায়ই গুরুত্ব প্রাপ্ত হয়। এই ব্যথা সাধারণত পেটের নিচের অংশে স্থান পায় এবং অপেক্ষা করা হয় যেন প্রায় আধাঘণ্টা বা আরও বেশির মধ্যে মোট দুটি ঘণ্টা। এই লক্ষণ অবশ্যই এপেন্ডিসাইটিসের প্রমুখ লক্ষণ নয়, কারণ এই ধরণের ব্যাথা অন্যান্য অসুস্থতা বা সমস্যার জন্য প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।
- বাদামি বা হালকা ব্যাথা: পেটের ডান দিকের ব্যথার সাথে সম্পর্কিত আরেকটি সাধারণ লক্ষণ হলো বাদামি বা হালকা ব্যাথা। এটি সাধারণত পেটের উপরের অংশে অনুভব করা যায় এবং সাধারণত এটি অত্যন্ত প্রাথমিক অবস্থায় হতে পারে।
- শারীরিক দুর্বলতা এবং অবাধ্য মনের অবস্থা: এপেন্ডিসাইটিসের একটি অন্যত্র সাধারণ লক্ষণ হলো শারীরিক দুর্বলতা এবং অবাধ্য মনের অবস্থা। রোগী সাধারণত বেশি বেশি অনুপস্থিত হয় এবং তারা অবাধ্য বা নিয়মিত সময়ের জন্য মনে পরিকল্পনা নেওয়ার সমর্থ হয় না।
- পেটের তাপমাত্রা এবং বমি: এপেন্ডিসাইটিসের একটি অপূর্ব লক্ষণ হলো পেটের তাপমাত্রা এবং বমি। এই লক্ষণগুলি সাধারণত রোগীর সাথে যোগাযোগের একটি বিদ্যমান অংশ হতে পারে এবং অন্যান্য সমস্যার কারণেও উত্পন্ন হতে পারে।
- পেটের সামান্য ব্যাথা এবং গ্যাস: সাধারণত এপেন্ডিসাইটিসের লক্ষণ মধ্যভাগে এবং পেটের অংশের দিকে বা চারপাশের অংশে স্থানান্তর হতে পারে, যাতে সামান্য ব্যাথা এবং গ্যাস সম্পর্কিত অবস্থার চেহারা প্রকাশিত হয়।
- কাছাকাছি পেটের স্থানান্তর: কাছাকাছি পেটের স্থানান্তর এবং সামান্য ব্যাথা এপেন্ডিসাইটিসের আরেকটি সাধারণ লক্ষণ হতে পারে। এই লক্ষণ সাধারণত পেটের নিচের অংশে অনুভব করা যায় এবং অন্যান্য অসুস্থতা বা সমস্যার কারণে উত্পন্ন হতে পারে।
- অস্বাভাবিক স্টুল: এপেন্ডিক্সের সংক্রমণের ফলে রোগী অস্বাভাবিক স্টুল অথবা পেটের দিকে ব্যথা সহজ হতে পারে এবং এটি মলদ্বারের প্রতিক্রিয়ার সাথে তালমিল রয়েছে।
এই সাতটি লক্ষণগুলি এপেন্ডিক্সের সংক্রমণের সাধারণ লক্ষণ হিসেবে গণ্য হয়। যদিও সময়ে অন্যান্য সমস্যার জন্য পেটের ব্যাথা বা অবস্থানবিহীন ব্যথা উত্পন্ন হতে পারে, তবে এই লক্ষণগুলির সমন্বয়ে তারা এপেন্ডিক্সের সংক্রমণের আশঙ্কা নেই। এপেন্ডিক্সের সংক্রমণের সন্ধানে সাধারণত রোগীকে আলপস্তকারী পরীক্ষা এবং অনুসন্ধান করার জন্য ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
এপেন্ডিসাইটিস বা অ্যাপেন্ডিক্স কেন হয়
এপেন্ডিসাইটিস হলো এপেন্ডিক্স নামক অব্যবহৃত বা অব্যবহৃত হওয়া পর্যন্ত একটি বা একাধিক অবস্থার দলে আক্রান্তির ফলে উত্থিত সংক্রমণ। এপেন্ডিক্স হলো সাধারণত পাচনায় অবস্থান করা যায়, তবে এর কোনও নির্দিষ্ট কাজ নেই। যখন এপেন্ডিক্সে সংক্রমণ ঘটে, তখন তা স্বল্পস্থানের পরিমাণে স্থানান্তরিত হয়ে ব্যাথা ও জ্বরের সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য লক্ষণের সাথে দেখা যায়।
এপেন্ডিক্সের সংক্রমণ আধুনিক চিকিৎসার জন্য একটি আমদানি কারণ হিসেবে গণ্য হয়। এপেন্ডিক্সের সংক্রমণের পেশীরূপ বা জটিল কারণগুলি সম্পর্কে পরিষ্কার নয়, তবে এটি সাধারণত এপেন্ডিক্সের অন্যান্য পরিস্থিতিগুলির ফলে উত্থিত হতে পারে।
সাধারণত এপেন্ডিক্সে সংক্রমণের প্রাথমিক কারণ হলো এপেন্ডিক্সে স্থানস্থায়ী নিকটতম বা ব্যবহার হওয়া পাথোজেন সংক্রমণ যা অতি কমন হতে পারে। এই সংক্রমণ হতে পারে এপেন্ডিক্সের প্রবেশমূলক প্রদাহের ফলে, যেমন বাক্টেরিয়া, ভাইরাস, প্রোটোজোয়া বা প্রাণি।
এপেন্ডিক্সে সংক্রমণের অন্যান্য সম্ভাব্য কারণ হতে পারে:
- পেটে নামুনা এবং নিকটস্থ অবস্থানের ব্যথা: পেটে এপেন্ডিক্সের সাথে সামনের বা বামের নামুনা বা নিকটস্থ অবস্থানের ব্যথা হলে এপেন্ডিক্সের অবস্থানের বাধা হতে পারে, যা সংক্রমণের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে পারে।
- পেটে বাক্টেরিয়া বা ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ: পেটে বাক্টেরিয়া বা অন্যান্য জীবাণুগুলির উপস্থিতি এপেন্ডিক্সে সংক্রমণের একটি প্রধান কারণ হতে পারে, যা অব্যবহৃত এপেন্ডিক্সে সংক্রমণের জন্য অবস্থান তৈরি করতে পারে।
- এপেন্ডিক্সে স্থানান্তর অবস্থা: পেটের বিভিন্ন অংশে এপেন্ডিক্সের অবস্থান পরিবর্তনের ফলে পেটের কোনও অংশে বা অবস্থানে সাধারণত প্রকৃত প্রদাহ বা সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।
এপেন্ডিক্সের সংক্রমণের অন্যান্য কারণগুলি হতে পারে অন্যান্য মেডিকেল
শর্তগুলি যেমন ক্রোনিক বা অস্বাভাবিক বায়োমেকানিক্যাল মেয়ের অবস্থানের
মূল্যবান প্রভাব বা স্ট্রাইকচার বা অতিরিক্ত অনুভূতি।এপেন্ডিক্সের
সংক্রমণের কারণ সম্পর্কে অনেক কিছুই বেঁচে থাকা সহজ নয়, এবং এটি সম্পর্কে
অনেক আধুনিক চিকিৎসায় এখনো অনুসন্ধান চলছে। তবে, এই ধরণের অবস্থা যদি
সনাক্ত হয়, তবে সাধারণত চিকিৎসা সফল হয়।
এপেন্ডিসাইটিস বা অ্যাপেন্ডিক্স হলে করনীয় কী
এপেন্ডিসাইটিস হলে প্রথমেই সার্জিক্যাল প্রাথমিক যত্ন নেওয়া উচিত। এই অবস্থায় অত্যন্ত জরুরী চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে, যাতে অতি দ্রুত অপারেশনের মাধ্যমে এপেন্ডিক্স সরানো যায়। এপেন্ডিক্সের সংক্রমণ ব্যক্তির জীবন সংক্রান্ত অনেকগুলি ধরনের সমস্যার উৎপাদন করতে পারে, যেমন অনিয়মিত প্রস্রাব, অতিরিক্ত অনুভূতি, অবস্থান বা প্রবেশ ব্যথা, ওজন কমা, ইত্যাদি। তাই, এপেন্ডিসাইটিসের ক্ষেত্রে চিকিৎসা প্রয়োজন।
আরও পড়ুনঃ
কিডনির পয়েন্ট কত হলে ডায়ালাইসিস করতে হয়
- ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন: যখন এপেন্ডিসাইটিসের লক্ষণ প্রকাশ পাওয়া যায়, তখন সরাসরি ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। ডাক্তার আপনার লক্ষণগুলি নিরীক্ষা করবেন এবং প্রয়োজনে আপনাকে নির্দেশ দিবেন পরীক্ষা করার জন্য বা চিকিৎসার উপায় নিয়ে সুপারিশ করবেন।
- আশ্বাসন করা: এপেন্ডিসাইটিস অত্যন্ত আবশ্যক এবং অপারেশন প্রয়োজন হতে পারে। এটি আপনাকে ভয় দেয়ার কোনও কারণ নেই, কারণ সাধারণত এটি সফলভাবে চিকিৎসা করা যায়।
- বিশেষজ্ঞ বা হাসপাতালে যান: ডাক্তার যদি এপেন্ডিসাইটিসের সনাক্ত করে থাকেন তবে সরাসরি একটি হাসপাতালে যান এবং চিকিৎসার জন্য নিবন্ধন করুন। সেখানে আপনার অবস্থা নিরীক্ষা করা হবে এবং যে কোনও আবশ্যিক চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রয়োজন হলে সেগুলি সরবরাহ করা হবে।
- অতিরিক্ত খাবারের সাথে সাবধান থাকুন: আপেন্ডিসাইটিসে আপনার পাচনতন্ত্রিক স্বাভাবিকভাবে সাবধানে থাকা উচিত। আপেন্ডিসাইটিসের সময়ে মানসিকভাবে তাড়াতাড়ি খাওয়া যেতে পারে, কিন্তু এটি আপনার সমস্ত অগ্রাধিকারের জন্য অনুপ্রাণিত হতে পারে এবং এটি আপনার অবস্থার ভাল হওয়ার সম্ভাবনা বাড়াতে পারে।
- প্রাথমিক চিকিৎসা নিন: ডাক্তার কি চিকিৎসা প্রয়োজন তা দেখতে পারেন বা প্রাথমিক চিকিৎসা করতে পারেন যেমন প্রয়োজনে আপনার প্রশ্ন উত্তর করা বা আপনার লক্ষণগুলির পরীক্ষা করা।
এপেন্ডিসাইটিস একটি সমস্যা হওয়া দ্রুত এবং অত্যন্ত জরুরী চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে। যে কেউ এপেন্ডিসাইটিসের লক্ষণগুলি অনুভব করলে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য অতি দ্রুত একটি ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। আশা করা যায় যে এই তথ্য আপনার এপেন্ডিসাইটিস চিকিৎসা সংক্রান্ত সাথে সাহায্য করবে।
এপেন্ডিসাইটিস বা অ্যাপেন্ডিক্স এর লক্ষণ
এপেন্ডিসাইটিস একটি অত্যন্ত অসুস্থতা যা অপেক্ষাকৃত ব্যথা এবং অসুস্থতার সাথে পরিচিত। এপেন্ডিসাইটিসের লক্ষণ প্রায়ই একটি বা একাধিক অবস্থার কাছাকাছি লক্ষণ নির্ধারণ করা হয়।
এপেন্ডিসাইটিসের সাধারণ লক্ষণ নিম্নে উল্লেখ করা হলো:
- পেটে ব্যথা: সবচেয়ে সাধারণ এবং মৌলিক লক্ষণ হলো পেটের ডানদিকে একটি অবস্থানবিহীন ব্যথা বা অবস্থানবিহীন ক্ষতি। এই ব্যথা সাধারণত হালকা থেকে শুরু হয় এবং প্রগ্রেস করে যেতে পারে।
- অস্বাভাবিক ক্ষুদ্রতর হিসেবে শুরু হওয়া: এপেন্ডিসাইটিসের সংক্রমণের লক্ষণ অস্বাভাবিক ক্ষুদ্রতর হিসেবে শুরু হতে পারে এবং তারপরে প্রগ্রেস করতে পারে। রোগী সাধারণত একটি অস্বাভাবিক অনুভূতি অথবা উবচ্চ স্থানে একটি যেন অবস্থানবিহীন ব্যথা অনুভব করেন।
- জ্বর: অনেক সময়ে, এপেন্ডিসাইটিসের সংক্রমণ জ্বরের সাথে যুক্ত হতে পারে। জ্বর রোগীর শরীরের সাধারণ প্রতিক্রিয়া হতে পারে এবং এপেন্ডিসাইটিসের সংক্রমণ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
- ক্ষুধা বা বমি: এপেন্ডিসাইটিসের সংক্রমণের সাথে সম্পর্কিত ব্যাথা সম্পর্কে রোগী ক্ষুধা না অনুভব করতে পারে এবং তার সাথে কিছুটা বমির অভিজ্ঞতা অনুভব করতে পারে।
- পাখার অভ্যন্তরীণ ব্যথা: কোনও সময়ে, এপেন্ডিক্সের সংক্রমণ পাখার অভ্যন্তরীণ ব্যথা উত্পন্ন করতে পারে। এই ধরনের ব্যথা পেটের ডানদিক এবং পাখার দিকে ব্যথা হিসেবে স্পষ্টত হতে পারে।
- অস্বাভাবিক স্টুল: এপেন্ডিক্সের সংক্রমণের ফলে রোগী অস্বাভাবিক স্টুল অথবা পেটের দিকে ব্যথা সহজ হতে পারে এবং এটি মলদ্বারের প্রতিক্রিয়ার সাথে তালমিল রয়েছে।
এই উল্লেখিত লক্ষণগুলি মূলত এপেন্ডিসাইটিসের সাধারণ লক্ষণ হিসেবে গণ্য হয়। যদিও সময়ে অন্যান্য সমস্যার জন্য পেটের ব্যাথা বা অবস্থানবিহীন ব্যথা উত্পন্ন হতে পারে, তবে এই লক্ষণগুলির সমন্বয়ে তারা এপেন্ডিসাইটিসের সংক্রমণের আশঙ্কা নেই। এপেন্ডিসাইটিসের সংক্রমণের সন্ধানে সাধারণত রোগীকে আলপস্তকারী পরীক্ষা এবং অনুসন্ধান করার জন্য ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
এপেন্ডিসাইটিস বা অ্যাপেন্ডিক্স হলে কি খাওয়া উচিত
এপেন্ডিসাইটিস হলে আপনার খাবার ও পানীয়ের প্রবলেম হতে পারে এবং অতিরিক্ত আলোচনা না করে ভারি খাবার অথবা অধিক তেলে ভাজা, চিংড়ি, মাংস এবং ধূমপান সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। তবে, এপেন্ডিসাইটিসের প্রকৃতি ও অবস্থার কারণে আপনি কিছু প্রাকৃতিক ও সুস্থ খাবার খাতে পারেন যা আপনার সাহায্য করতে পারে।
- প্রবৃদ্ধি করা সাদা চাল ও ধান: সাদা চাল এবং ধান আপেন্ডিসাইটিসে ভুক্ত ব্যক্তিরা খাবারে যোগ করতে পারেন। এগুলি সাদা ও ভুজা খাবার হিসেবে বিশেষভাবে ভাল হতে পারে যেখানে তেল বা গ্রিজি উপস্থিত নেই।
- পর্বতীয় সবজি ও ফল: পর্বতীয় সবজি এবং ফলের সেবন স্বাস্থ্যকর এবং আপেন্ডিসাইটিসের ব্যাথার মানসিকভাবে আলোচনা করা হয়। লাল লেবু, আলোয় ভেরা, সুন্দরি আম, লাউ এবং পোষাকীয় সব্জির মধ্যে অনেক প্রকারের ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য গুণগুলি আছে যা আপেন্ডিসাইটিস চিকিৎসার জন্য দরকারী হতে পারে।
- প্রোটিন সৃষ্টিকারী খাবারসমূহ: আপেন্ডিসাইটিসের সময়, আপনি প্রোটিন সৃষ্টিকারী খাবার যেমন মাছ, মাংস এবং ডাল খেতে পারেন। এগুলি স্বাস্থ্যকর প্রোটিন সরবরাহ করে এবং সাথে ভালো অমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অন্যান্য গুণগুলি যেমন ইয়োড, জিংক এবং সেলেনিয়াম সরবরাহ করতে পারে।
- প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার: প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন ডাল, চিনি কুটি, দুধ, সোয়া ওয়ারি, অল্পগোলার চিকেন, ডিম, তৈরি মাংস ইত্যাদি আপেন্ডিসাইটিসের সময় খেতে উচিত।
- প্রাণ্য পদার্থ এবং পানি: প্রাণ্য পদার্থ এবং পর্যাপ্ত পানি পান করা উচিত, কারণ এগুলি আপেন্ডিসাইটিসের মধ্যে শরীরের প্রতিষ্ঠা এবং পুষ্টি সরবরাহ করে।
সামগ্রিকভাবে বলা যায় যে, আপেন্ডিসাইটিসের সময় আপনাকে প্রাকৃতিক,
সুস্থ, এবং সাতত খাবার খেতে হবে। তবে, আপনার খাবারের পছন্দ ও প্রকৃতি
অনুসারে ডাক্তারের পরামর্শ অনুসরণ করা উচিত যেতে পারে যেন এপেন্ডিসাইটিসের
লক্ষণ বাড়ে না এবং স্বাস্থ্যবান ও সুস্থ হতে সাহায্য পাওয়া যায়।
এপেন্ডিসাইটিস বা অ্যাপেন্ডিক্স এর ব্যথা কমানোর উপায়
এপেন্ডিসাইটিস হলে ব্যথা হলে তা খুবই কষ্টকর এবং দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। তবে, কিছু পদক্ষেপ নিয়ে এপেন্ডিসাইটিস এর ব্যথা কমানো সম্ভব। নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি ব্যবহার করে আপনি আপনার ব্যথা ও অসুস্থতা কমাতে পারেন:
- প্রতিষেধক ঔষধ (Pain Relievers): এপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা হালকা থেকে অনেকটাই কষ্টকর হতে পারে। এই ব্যথা কমাতে এবং আরাম দেওয়ার জন্য, ডাক্তার সাধারণত প্রতিষেধক ঔষধ যেমন এসিটামিনোফেন (টাইলিনল) বা ইবুপ্রোফেন (ইবুপ্রোফেন) নির্ধারণ করেন। এই ঔষধগুলি দ্বারা আপনি অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুসরণ করতে হবেন।
- শীতলতা (Ice Packs): ব্যথার সাথে যুক্ত পেটকে শীতল করার জন্য আইস প্যাক ব্যবহার করা হতে পারে। এইভাবে ব্যথার তাপমাত্রা কমানো যায় এবং আপনি অনেকটা আরাম পেতে পারেন।
- প্রেসার আরাম (Rest): যখন আপেনডিসাইটিসের ব্যথা হয়, আপনার দ্বারা সাধারণত কোন কাজ বা শারীরিক পরিশ্রমের থাকা উচিত নয়। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী আপনার অনেক বিশ্রাম নিতে হতে পারে।
- সঠিক পোষাক (Proper Clothing): পেটের ব্যথা ও অসুস্থতা এপেন্ডিসাইটিসের ক্ষেত্রে আরও কষ্টকর হতে পারে যদি শারীরিক পরিশ্রম বা অন্যান্য অবস্থায় মাথা বা পেটের প্রেসার বাড়ায়। তাই, পরিচর্যা নিয়ে মাথা করা গুরুত্বপূর্ণ। শারীরিক পশমাক যা শারীরিক অবস্থার দিকে সাহায্য করে তা ব্যবহার করা উচিত।
- প্রাকৃতিক ও জৈবিক পদ্ধতি (Natural and Holistic Methods): এপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা কমানোর জন্য আলোচনা করা যেতে পারে প্রাকৃতিক ও জৈবিক পদ্ধতির ব্যবহার, যেমন আরোগ্যকর খাবার, বিশেষজ্ঞের পরামর্শের অনুসরণ, নির্দিষ্ট যোগাযোগের যোগাযোগে ধ্যানাদিবস, ধ্যান, প্রাণায়াম এবং যোগাসন।
এপেন্ডিসাইটিস বা অ্যাপেন্ডিক্স এর পরীক্ষা
এপেন্ডিসাইটিসের পরীক্ষা করার জন্য ডাক্তার সাধারণত রোগীর লক্ষণ, শারীরিক পরীক্ষা, এবং পরীক্ষার ধরণ উপর ভিত্তি করে প্রক্রিয়াকরণ করেন। এই পরীক্ষা মাধ্যমে রোগীর এপেন্ডিসাইটিসের উপস্থিতি এবং তা কতটুকু গভীর হতে পারে তা নিশ্চিত করা হয়।
- লক্ষণ ও ইতিহাসের পরীক্ষা: ডাক্তার আপনার অবস্থা নিয়ে আলোচনা করবেন এবং আপনার অস্তিত্বের সময়ে আপেন্ডিসাইটিসের লক্ষণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবেন। রোগীর ইতিহাস, যেমন ব্যথা এবং যেমন কিছুই আরও পরীক্ষা করতে পারে তা সম্পর্কে ডাক্তারের কিছু মৌখিক প্রশ্ন থাকতে পারে।
- শারীরিক পরীক্ষা: এপেন্ডিসাইটিসের পরীক্ষার সময়ে ডাক্তার আপনার পেটের ব্যাথা আবশ্যকভাবে পরীক্ষা করবেন এবং অন্যান্য শারীরিক লক্ষণ যেমন উঁচু তাপমাত্রা, বমি, দুর্বলতা ইত্যাদি পরীক্ষা করবেন।
-
পরীক্ষা পরিচিত্র (Imaging Tests): ডাক্তার সাধারণত
এপেন্ডিসাইটিসের পরীক্ষার জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা পরিচিত্রণ অর্থাৎ ইমেজিং
পরীক্ষা করে থাকেন।
- এবসি পরীক্ষা (Abdominal CT Scan): এই পরীক্ষাটি সাধারণত এপেন্ডিসাইটিস নিশ্চিত করার জন্য সবচেয়ে কার্যকর পরীক্ষা। এটি আপনার পেটের অবস্থান বা দুর্বলতা বা ক্ষতি নির্ধারণে সহায়ক হতে পারে।
- এবসি প্রশ্নাবলী (Abdominal Ultrasound): এই পরীক্ষা প্রাথমিকভাবে পেটের সংক্রান্ত সমস্যার মৌলিক কারণ বা সংক্রান্ত জন্য পরীক্ষা করার জন্য ব্যবহৃত হতে পারে।
- এবসি স্ক্যান (Abdominal X-ray): এই পরীক্ষাটি এপেন্ডিসাইটিসের লক্ষণ সনাক্ত করতে পারে, তবে এটি সম্পূর্ণ নিশ্চিততা সরবরাহ করতে পারে না।
- রক্ত পরীক্ষা (Blood Tests): ডাক্তার সাধারণত রোগীর রক্ত পরীক্ষা করে এপেন্ডিসাইটিসের উপস্থিতি নিশ্চিত করেন। রক্তে উচ্চ স্তরের সফেড রক্তকণিকা (WBC) বা অন্যান্য ব্যথা মূলকগুলি বিশেষজ্ঞ অবস্থা বোঝার জন্য পরীক্ষা করা হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ
প্রতিদিন কতটুকু কালোজিরা খাওয়া উচিত
উপরের পরীক্ষা পদ্ধতিগুলি সাধারণত এপেন্ডিসাইটিসের পরীক্ষা ও উপচারের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই পরীক্ষা সাধারণত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগের পরে নেয়া হয়। ডাক্তার আপনার লক্ষণ এবং পরীক্ষা পর্যালোচনা করে সম্পর্কে নির্ধারণ করে এবং প্রয়োজন হলে আরও পরীক্ষা বা পরীক্ষা নির্ধারণ করতে পারে।
এপেন্ডিসাইটিস বা অ্যাপেন্ডিক্স এর ঔষধ
এপেন্ডিসাইটিসের উপচারের জন্য প্রাথমিকভাবে চিরুর্জিকাল অপারেশন প্রয়োজন হতে পারে, যা অ্যাপেনডিক্সের সরানো সম্পর্কিত। চিকিৎসা হিসেবে ঔষধ ব্যবহারের প্রয়োজন হতে পারে না, তবে অনেক সময় চিকিৎসার অংশ হিসেবে ঔষধ ব্যবহার করা হতে পারে, যা ব্যক্তিগত অবস্থা এবং রোগীর সম্পর্কে নির্ভর করে। এপেন্ডিসাইটিসের ঔষধের মূল উদ্দেশ্য আবহাওয়ার লক্ষণ নির্মূল করা এবং সংক্রামক প্রস্তুতি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করা।
- প্রবাহমান ঔষধ (Intravenous Antibiotics): যখন এপেন্ডিসাইটিস একটি সংক্রামক প্রস্তুতির সাথে সম্পর্কিত হয়, তখন ডাক্তাররা সাধারণত ইন্ট্রাভেনাস অ্যান্টিবায়োটিক প্রেসক্রিপ্ট করেন। এই ঔষধগুলি সংক্রামক প্রস্তুতি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে এবং সাধারণত অপারেশনের পূর্বে ব্যবহার করা হয়।
- প্রতিষেধক ও ক্রমসামগ্রী (Pain Relievers and Symptom Management): পেটের ব্যথা এবং অন্যান্য লক্ষণগুলি কমানোর জন্য, ডাক্তাররা সাধারণত ব্যবহার করা হয় প্রতিষেধক ঔষধ যেমন এসিটামিনোফেন (টাইলিনল) বা ইবুপ্রোফেন (ইবুপ্রোফেন)।
- অ্যান্টিইমিটিক ঔষধ (Antiemetic Medications): বমি এবং মুখের প্রস্রাবের সাথে যুক্ত হতে পারে, এই লক্ষণগুলি সহনশীল করার জন্য ডাক্তাররা সাধারণত অ্যান্টিইমিটিক ঔষধ প্রেসক্রিপ্ট করেন।
- অ্যান্টিব্যায়োটিক ট্রিটমেন্টের পরবর্তী পরিচর্যা (Post-antibiotic Treatment Care): যখন রোগী হাসপাতাল থেকে বাহির হয়, তখন ডাক্তাররা সাধারণত পরিচর্যা নিশ্চিত করতে সাহায্য করেন যাতে রোগীর অবস্থা সুধারা যায়। এই পরিচর্যা অন্তর্ভুক্ত হতে পারে অনেক জিনিস, যেমন বিশেষজ্ঞের নির্দেশনা অনুসারে খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে কোন সীমাবদ্ধতা, পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং সঠিক অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ।
যেভাবেই হোক, আপেনডিসাইটিস চিকিত্সা ব্যবস্থাপনার জন্য অস্তিত্বায়িত ডাক্তারের পরামর্শ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আপেনডিসাইটিস চিকিত্সা প্রস্তুতি করা উচিত এবং এটির লক্ষণ স্বাভাবিকভাবে সুধারে না হলে তা অত্যন্ত গম্ভীর হতে পারে।
এপেন্ডিসাইটিস বা অ্যাপেন্ডিক্স অপারেশন খরচ
এপেন্ডিসাইটিসের চিকিৎসা সাধারণত এপেন্ডেক্টোমি নামে পরিচিত চিকিৎসার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। এই অপারেশনে এপেনডিক্স নামে পরিচিত আবর্তক অংশটি প্রাকৃতিকভাবে বের করে ফেলা হয়।
তবে, এই অপারেশনের খরচ বিভিন্ন ফ্যাক্টরের উপর নির্ভর করে পরিবর্তন করতে পারে।
- অপারেশনের ধরণ: এপেন্ডিসাইটিসের অপারেশনের ধরণ মূলত দুই ধরণের হতে পারে: সাধারণ অপারেশন এবং কোম্প্লিকেটেড অপারেশন। সাধারণ অপারেশনের মূল খরচ কম হয় যেখানে কোম্প্লিকেটেড অপারেশনের মূল খরচ বেশি হয়।
- অপারেশনের স্থান: অপারেশনের স্থানটি আপেনডিক্সের স্থানের উপর নির্ভর করে। যদি অপারেশন এপেনডিক্স বের করার জন্য ছোট স্লিটকেটে সীমাবদ্ধ হয়, তবে খরচ কম হতে পারে। তবে, যদি কোনও অতিসম্পূর্ণ অবস্থা সনাক্ত করা যায়, তবে অপারেশনের জন্য একটি বৃহৎ করেখানা খোলা উচিত হতে পারে, যা আরও খরচসহ সাধারণত বেশি হয়।
- অসুস্থ অবস্থা: অপারেশনের সময় অসুস্থ অবস্থা সনাক্ত করা হলে, অপারেশনের খরচ বাড়তে পারে কারণ সহজে অপারেশন সম্পন্ন করা বেশি কষ্টকর হতে পারে।
- অপারেশনের সময় এবং পরিস্থিতি: অপারেশনের সময় এবং পরিস্থিতির মধ্যে প্রাচীর পরিবর্তন হতে পারে, যা অপারেশনের খরচে পরিবর্তনের কারণ হতে পারে। এছাড়াও, অসুস্থ ব্যক্তির ক্ষেত্রে আরও সতর্কতা প্রয়োজন হতে পারে যা অপারেশনের খরচ বাড়াতে পারে।
- চিকিৎসার সময় ও মূল্য: অপারেশনের খরচ আমেরিকান যোগাযোগ অনুসারে সাধারণত $ 3,000 থেকে $ 25,000 এর মধ্যে পরিবর্তিত হতে পারে। এছাড়াও, মেডিকেয়ার ও অন্যান্য সহায়ক ব্যয় ও খরচ অপারেশনের মূল্য বাড়িয়ে তুলতে পারে।
দেশের নাম |
টাকার পরিমাণ |
---|---|
বাংলাদেশ |
১৫০০০ টাকা থেকে ৫০০০০ টকা বা তার কম বা বেশি হতে পারে |
ভারত |
৪৮০০০ রুপি থেকে ১২২৫০০ রুপি বা তার কম বা বেশি হতে পারে |
আমেরিকা |
৩০০০ USD থেকে ২৫০০০ USD বা তার কম বা বেশি হতে পারে |
তুরস্ক |
১৬০০ USD থেকে ২৪০০ USD বা তার কম বা বেশি হতে পারে |
থাইল্যান্ড | ২০৮০ USD থেকে ৩১২০ USD বা তার কম বা বেশি হতে পারে |
জার্মানি | ২৮০০ USD থেকে ৪২০০ USD বা তার কম বা বেশি হতে পারে |
মালয়েশিয়া |
১৬০০ USD থেকে ২৪০০ USD বা তার কম বা বেশি হতে পারে |
আরও পড়ুনঃ
ক্রিয়েটিনিন কমানোর হোমিও প্যাথি ঔষুধ
অতএব, এপেন্ডিসাইটিসের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় অপারেশনের মূল্য ভিন্নভাবে পরিবর্তন করতে পারে এবং এটি প্রায় সবসময় আপেক্ষিকভাবে স্থায়ী নয়। এছাড়াও, বিমান টিকেট এবং হোটেলের বিল ইত্যাদি যোগ করে এই চিকিৎসা সম্পন্ন হতে পারে। তবে, অধিকাংশ অপারেশন প্রায় চুক্তি অনুযায়ী মেডিকেয়ার কভার করে। এছাড়াও, অনেক অস্পষ্ট কারণে, অপারেশনের মূল্য আপেনডিসাইটিসের মৌলিক চিকিৎসার সাথে মিলিত নয় এবং প্রথমে নিশ্চিত করা উচিত যে এপেন্ডিসাইটিস সমস্যার চেয়ে বৃহত্তর প্রবল অসুস্থ অবস্থা নেই।
এপেন্ডিসাইটিস বা অ্যাপেন্ডিক্স অপারেশনের পর কি খাওয়া যায়
এপেন্ডিসাইটিস অপারেশনের পর আপনার খাবারের নির্বাচন প্রাথমিকভাবে আপেন্ডেক্টোমি অপারেশনের পর আপনার উপস্থিত অবস্থার উপর নির্ভর করে। প্রথম কিছু দিনের মধ্যে, চিকিত্সকরা সাধারণত একটি শ্রমিক খাদ্য পরিকল্পনা সুপারিশ করে যাতে আপনি প্রোটিন, শক্তি এবং সঠিক পুষ্টি পান। নিম্নলিখিত খাদ্য তালিকা অপারেশনের পর ধাতুবাহী ও আরামদায়ক হতে পারে:
- সুপ ও মশুরির ডাল: সুপ ও মশুরির ডাল মৃদু এবং সহজে পাচনযোগ্য হওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়। এগুলি আপনার প্রোটিনের প্রয়োজন পূরণ করতে সাহায্য করে এবং আপনার শরীরের শক্তি প্রদান করতে সাহায্য করতে পারে।
- মসৃণ ও পাচনযোগ্য সবজি: পার্ষ্বপ্রস্থ সবজি যেমন পটল, লাউ, ঝিঙে, শিম, গাজর, কলিফ্লাওয়ার ইত্যাদি পাচনযোগ্য এবং আপনার প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রদান করতে পারে। এগুলি নিরাপদ এবং সহজে ভেঙ্গে পাচ্ছে এবং প্রোটিন ও অন্যান্য গুণগুলি সরবরাহ করতে সাহায্য করে।
- মৃদু মাংস এবং পুরোটার গরুর দুধ: মৃদু মাংস পরিমাণের মাংস যেমন চিকেন বা ফিশ ও পুরোটার গরুর দুধ আপনার প্রোটিনের প্রয়োজন পূরণ করতে সাহায্য করতে পারে। এগুলি নরম ও সহজে পাচনযোগ্য হওয়ায় অপারেশনের পর আপনার জঠিল পাচন সিস্টেমকে উপশমিত করতে সাহায্য করতে পারে।
- ফল এবং প্রাণ্য পদার্থ: পুষ্টিকর এবং পাচনযোগ্য ফল যেমন পেঁপে, সিতাফল, আম, কলা, অলপ্রটিন ড্রিংকস এবং লো ফ্যাট দুধ আপনার পুষ্টি প্রয়োজন পূরণ করতে সাহায্য করতে পারে।
- পরিমিত প্রস্তুত খাবার: পরিমিত প্রস্তুত খাবার খাওয়ার মাধ্যমে আপনি আপনার জঠিল পাচন সিস্টেমের উপশমন করতে পারেন এবং প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ, ইত্যাদি সম্পৃক্ত সমস্ত পুষ্টি প্রদান করতে পারেন।
লেখকের শেষ কিছু কথা
এপেন্ডিসাইটিস সম্পর্কে সচেতনতা অনুষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি পরিষ্কারভাবে চিকিৎসা পেতে আমাদের প্রয়োজনীয় ধারণা এবং সচেতনতা দরকার। এপেন্ডিসাইটিস যেভাবে সমস্যার উপস্থাপন করে তা শুধুমাত্র সময় কাটানোর অসুখ নয়, বরং অবশ্যই সঠিক চিকিৎসা পেতে পারে। এপেন্ডিসাইটিসের কোন লক্ষণ দেখা দিলে তা অবিলম্বে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
আরব্লগস আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url