আমলকি, হরিতকী ও বহেরার ( ত্রিফলা ) উপকারিতা

ত্রিফলা কি? ত্রিফলা কিভাবে তৈরি করতে হয়? কোন কোন ফলের মিশ্রণে ত্রিফলা তৈরি হয়? আমলকি, বহেরা ও হরিতকী উপকারিতা সম্পর্কে জানব। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুসারে, ত্রিফলা জুড়ি মেলা ভার রোগ-প্রতিরোধ করতে। 

আমলকি, হরিতকী ও বহেরার ( ত্রিফলা ) উপকারিতা

যাই হোক, ত্রিফলা কি আসলেই সুস্থতার গ্যারান্টি? বর্তমান সময়ের চিকিৎসাবিজ্ঞান কি বলে? আজকে আমরা সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানব। চলুন জেনে নেওয়া যাকঃ

পোস্ট সূচিপত্র: আমলকি, হরিতকী ও বহেরার ( ত্রিফলা ) উপকারিতা

ভূমিকা

ত্রিফলা বহুকাল আয়ুর্বেদিক ওষুধে ব্যবহার হয়ে আসছে। ত্রিফলা ৩ টি প্রাকৃতিক ফলের সংমিশ্রণ ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। এই ৩ টি প্রাকৃতিক ফলের মধ্যে থাকা প্রতিটি পুষ্টি গুণ দ্রুত রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। পাশাপাশি যারা অতিরিক্ত ওজন নিয়ে চাপে থাকেন তাদের ওজনও কমবে।

ত্রিফলা কি

ত্রিফলা একটি প্রাচীন আয়ুর্বেদিক উপাদান, যা প্রায় সকল পরিবারের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি বাংলা ও অন্যান্য ভারতীয় চিকিৎসা পদ্ধতিতে একটি মুখ্য ঔষধিক উপাদান হিসাবে ব্যবহৃত হয়। ত্রিফলা মূলত তিনটি বিভিন্ন প্রকারের গুণসমৃদ্ধ পৌষ্টিক উপাদানের মিশ্রণ হিসাবে পরিচিত।

ত্রিফলার মূল উপাদান হলো:

  • হরিতকী (হরিতকী, হরিতাকী) - এটি পৌষ্টিক এবং শক্তিশালী প্রতিশত গুণধর্মী।
  • আমলকী (আমলা) - এটি বিটামিন সি, এসিডিক পরিমাণ এবং প্রতিশত বিটামিন সি অন্যান্য উপাদানের মধ্যে সম্পদযুক্ত।
  • বহেরা (বিভিতা) - এটি ব্রহ্মি, সার্পগন্ধা এবং ভয়কেবুল প্রতিশত গুণধর্মী।

ত্রিফলা বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন কার্যকারিতা প্রদর্শন করে, যেমন পাচন প্রক্রিয়ার সহায়ক, কোষ প্রতিরক্ষাকারী, নির্দেশিকা ব্যবহার, চিকিৎসা প্রক্রিয়া ইত্যাদি। অনেকে এটি নিয়মিত অথবা আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করে থাকেন। এই উপাদানগুলি একত্রে মিশে ত্রিফলা তৈরি হয়, যা বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসম্পর্কিত উপকারিতা দেয়।

এটি বিশেষভাবে পাচনের সমস্যার জন্য পরিচিত। সাধারণত, ত্রিফলা চূর্ণ অবস্থায় পাওয়া যায়, যা মূখে গড়ানো বা পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন। আপনি এটি ঔষধিক রূপে বা চিকিৎসা প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করতে পারেন, যেমন ধূমপান, অভ্যন্তরীণ ব্যবহার বা বাহ্যিক ব্যবহারের মাধ্যমে। ত্রিফলা সাধারণত নির্দিষ্ট পরিমাণে ব্যবহৃত হয়, কেননা অধিক পরিমাণে প্রযোজ্য হলে কিছু অপ্রয়োজনীয় দিক প্রকাশ করতে পারে।

কোন কোন ফলের মিশ্রণে ত্রিফলা তৈরি হয় 

আমলকি, হরিতকি ও বহেরা- এই তিনটি প্রাকৃতিক ফল একত্রে শুকিয়ে গুঁড়া করে ত্রিফলার মিশ্রণ তৈরি করা হয়। এই তিনটি ফল আলাদা আলাদা ভাবে আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী সেটা সবার প্রথমে জেনে নেওয়া যাক।

  • আমলকি

আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং ভিটামিন সি থাকায় পেটের সমস্যাগুলি সহজ করে। আমলকি একইভাবে শরীরে জমে থাকা টক্সিন পদার্থ দূর করতেও অত্যন্ত উপকারী। তা বাদেও রোগ-প্রতিরোধের জন্য আমলকির কোনও প্রতিক্রিয়া নেই।

  • হরিতকী

হরিতকিতে ও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। পেটের সমস্যা দূর করতে এর ব্যবহার করা যেতেই পারে।

  • বহেরা

বহেরা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। পেশী শক্তি বাড়াতে এবং হাড় মজবুত করার জন্য বেহেরা অতিরিক্ত মূল্যবান। 

আরো পড়ুনঃ ক্রিয়েটিনিন কমানোর হোমিও প্যাথি ঔষুধ 

ত্রিফলা কিভাবে তৈরি করতে হয়

ত্রিফলা একটি প্রাচীন আয়ুর্বেদিক উপাদান, যা সাধারণত ভারতীয় চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এটি মূলত তিনটি বিভিন্ন প্রকারের গুণসমৃদ্ধ পৌষ্টিক বন্ধুত্বপূর্ণ পদার্থের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়। এই মিশ্রণের প্রধান উপাদান হলো তিনটি ঔষধিগুলি: হরিতকী (হরিতকী, হরিতাকী), আমলকী (আমলা) এবং বহেরা (বিভিতা)। এই তিনটি উপাদান একত্রে মিশে হয়ে ত্রিফলা তৈরি হয়।

ত্রিফলা তৈরি করার জন্য নিম্নলিখিত উপাদানগুলি প্রয়োজন:

  • হরিতকী বা হরিতাকী (হরিতকী পাউডার বা কুচি) - ৩ অংশ
  • আমলকী (আমলা পাউডার) - ২ অংশ
  • বহেরা (বিভিতা পাউডার) - ১ অংশ

এই উপাদানগুলি পরিমাণ করে একটি মিশ্রণে ভালোভাবে মেশানো হয়। মিশ্রণের অনেক স্থানে শীতল ধারাবাহিক ব্যবহার করা হয় যাতে ঔষধিগুলি ভালোভাবে মেশা যায়। ত্রিফলা ব্যবহারের উপায় বিভিন্ন হতে পারে। এটি ঔষধিক রূপে প্রচলিত, তেলে দ্রবীভূত রূপে, আবশ্যকের মতো বেশিরভাগ বাজারে পাওয়া যায়। অনেক মানুষ এটি নিয়মিত অথবা আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করে থাকেন।

ত্রিফলা বিভিন্ন ধরনের রোগ ও সমস্যার চিকিৎসা করতে ব্যবহৃত হতে পারে, যেমন জঠরাঘাত, পাচক সমস্যা, আমলবাহী প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত হওয়া, ক্ষয়, মুখ অবশ্যমত অস্বাস্থ্যকর অবস্থার চিকিৎসা, ইত্যাদি। আপনি অথবা কেউ যদি ত্রিফলা অর্ডার করতে চান অথবা নিজে তৈরি করতে ইচ্ছুক হন, তাহলে এই উপাদানগুলি মার্কেট থেকে সংগ্রহ করে একটি মিশ্রণ তৈরি করতে পারেন বা পরিমাণ নির্ধারণ করে স্বয়ং তৈরি করতে পারেন। তবে, তৈরি করার সময়ে সঠিক পরিমাণের বিষয়ে মনে রাখতে হবে, যেন প্রয়োজনীয় পরিমাণের ঔষধি বা পৌষ্টিক মান বজায় রাখা যায়।

ত্রিফলার কি কি গুণাগুণ রয়েছে

ত্রিফলা হলো একটি প্রাচীন আয়ুর্বেদিক প্রস্তুতি, যা বিভিন্ন ঔষধিক গুণাবলীর সমন্বয়ে তৈরি করা হয়। ত্রিফলা একটি সংক্ষিপ্ত উল্লেখযোগ্য উপায়ে শরীরের রক্তস্রাব, পেটের ক্ষতি, ব্যথা এবং বিভিন্ন অন্যান্য স্বাস্থ্যসম্পর্কিত সমস্যার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। ত্রিফলা একটি ত্রিধাতু মিশ্রণ, অর্থাৎ এটি তিনটি ধাতু (বিম্ব, পিত্ত এবং কফ) কে নির্মূল করতে সাহায্য করে।

ত্রিফলার কি কি গুণাগুণ রয়েছে

ত্রিফলা বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয় পেট সম্পর্কিত সমস্যাগুলি মোকাবেলায়, যেমন কবজ, পাচনতন্ত্রের সমস্যা, এসিডিটি, গ্যাস, এবং বদ পদার্থের স্থলান্তর। ত্রিফলা গাছের ফলের তিনটি মূল উপাদানের মিশ্রণ হলো আমলকী, বিহারি এবং হরিতকি। প্রাচীন আয়ুর্বেদিক প্রতিষ্ঠান অনুসারে, এই তিনটি উপাদান মিশে এই ঔষধি তৈরি করা হয়।

ত্রিফলা বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয় এই উপাদানগুলির কারণে, যা স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য উপকারী হতে পারে এবং বিভিন্ন অবস্থায় সাহায্য করতে পারে। ত্রিফলা ব্যবহার করা যেতে পারে অনেক উপায়ে, যেমন পাউডার রূপে, তিনটি উপাদান একত্রিত হয়ে থাকতে পারে এবং সেগুলি ক্ষীর বা মধুর সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।

ত্রিফলা একেবারে নেওয়া বা প্রতিদিন সম্পূর্ণ গল্পের মতো ব্যবহৃত হতে পারে। ত্রিফলার প্রধান গুণাবলী সম্পর্কে বিজ্ঞানী গবেষণার মধ্যে অনেক আলোচনা হয়েছে, যাতে এই উপাদানগুলির নিখরচা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত হতে পারে। এছাড়াও, এই গুণাবলী বিভিন্ন চিকিৎসার ক্ষেত্রে উপকারী হতে পারে, তবে তা কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসাগুলিতে ব্যবহার করতে পারে তা ধরা উচিত।

ত্রিফলার গুণাবলীর মধ্যে কিছু প্রধান উল্লেখযোগ্য গুণাগুণঃ

  • ওজন কমাতে

ওজন কমাতে ত্রিফলার জুরি মেলানো মুশকিল। এই সংমিশ্রণ চর্বি ঝরানো এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। এই মিশ্রণ বিপাকীয় হার প্রসারিত করতে পুরোপুরি কাজ করে। বিভিন্ন ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় দেখা গেছে যে ত্রিফলা ব্যবহার ওজন কমাতে সাহায্য করে। যাদের ত্রিফলা দেওয়া হয়েছে, নিয়ন্ত্রণের পরিবর্তে, তারা আরও উল্লেখযোগ্য ওজন হ্রাস এবং মৌলিকভাবে কোমর ও নিতম্বের পরিধি কমেছে।

  • শ্বাসকষ্টের সমাধান

যাদের শ্বাসকষ্ট রয়েছে তারা ত্রিফলাটি খেতে পারেন। শ্বাসকষ্টের জন্য ত্রিফলা অনেক উপকারী।

  • ত্বকের সমস্যায়

ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হতে পারে ত্রিফলা। এই মিশ্রণের সাধারণ ব্যবহার ত্বকের ব্রণ, ফুসকুড়ির সমস্যা দূর করতে পারে। এটি একইভাবে ত্বকের নমনীয়তা বজায় রাখতে সহায়তা করে।

  • শরীরের শক্তি বৃদ্ধিতে

ত্রিফলা শরীরকে ডিটক্সিফাই করে। ত্রিফলা জল খেলে শরীরে শক্তি বৃদ্ধি পায়।

  • চোখের সুস্থতা বজায় 

চোখের সুস্থতা বজায় রাখতে ত্রিফলা অত্যন্ত উপকারী। চোখের ছানি এবং গ্লুকোমা নিয়ন্ত্রণে আয়ুর্বেদিক সংমিশ্রণ তৈরিতে ত্রিফলা ব্যবহার করা হয়। ক্লিনিকাল তদন্তগুলি প্রমাণ করে ছানি এবং দৃষ্টি শক্তি আরো উন্নয়নশীল করতে অনেক উপকারী।

  • দাঁতের সু-স্বাস্থ্য বজায়

ত্রিফলা খেলে দাঁতের দারুণ সুস্থতা বজায় থাকে। ত্রিফলা দাঁতের হলুদ দাগ দূর করতে, মাড়ি থেকে রক্ত পড়া রোধ করতে, শ্বাসকষ্ট দূর করতে, দাঁত ও মাড়িকে মজবুত করতে দারুন ভাবে কাজ করে।

  • চুলের সুরক্ষাকারী

ত্রিফলা চুল সুরক্ষার বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত এবং অসময়ে চুল সাদা হয়ে যাওয়া রোধ করে। চুল পড়ার সমস্যা হ্রাস করে এবং পরিমিত ব্যবহারের সাথে মাথার ত্বকে পুষ্টি প্রদান করে।

  • সংক্রমণ আটকানোর প্রতিনিধি

 ত্রিফলা বিভিন্ন ওষুধে সংক্রামক বিশেষজ্ঞের শত্রু হিসাবে ব্যবহার করা হয় এবং এই ব্যবহার গবেষণায় অনুভূত হয়। শুধু তাই নয়, Escherichia coli, Salmonella typhi, Pseudomonas aeruginosa, Staphylococcus aureus, Vibrio cholerae-এর বিরুদ্ধে এর কার্যকারিতা একইভাবে প্রদর্শিত হয়।

  • ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে

ত্রিফলা ক্যান্সারের মতো রোগ প্রতিরোধ করে থাকে।  ভিটামিন-সি তে সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে ত্রিফলাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খাদ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই লক্ষ্যে এটি আমাদের শরীরকে ফ্রি র‌্যাডিকালের প্রভাব থেকে রক্ষা করে। ত্রিফলা ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধের কার্যকারিতার সাথে পরিচিত হওয়ার জন্য বিভিন্ন তদন্ত শেষ হয়েছে এবং এই বিপুল সংখ্যক গবেষণা গ্যারান্টি দেয় যে ত্রিফলা ক্যান্সার প্রতিরধক সম্ভাব্য ঔষুধ।

  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে

এটা নিঃসন্দেহে সত্য যে ত্রিফলা ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে কাজ করে কারণ ইনসুলিন রাসায়নিকের উপর এর সক্রিয়তা রয়েছে। এটি সঞ্চালন ব্যবস্থায় গ্লুকোজের জমায়েত বা আগমন নিয়ন্ত্রণ করে। যারা ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগছেন তারা একইভাবে নিয়মিত ত্রিফলা খেতে পারেন। ত্রিফলা অগ্ন্যাশয়ে ইনসুলিন রাসায়নিকের নিঃসরণ বাড়াতে সাহায্য করে।

  • কিডনি ও লিভার ভালো রাখতে

ত্রিফলা কিডনির স্বাভাবিক কাজ ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এই মিশ্রণটি কিডনির পাশাপাশি লিভারকে ভালো রাখে। শুধু তাই নয়, ত্রিফলা এই দুটি অঙ্গে একত্রিত টক্সিন বা ক্ষতিকর পদার্থকে কার্যকরভাবে দূর করে।

ত্রিফলা কি আসলেই সুস্থতার গ্যারান্টি

ত্রিফলা একটি প্রাচীন আয়ুর্বেদিক উপাদান হিসাবে পরিচিত, যা অনেকে সুস্থতা ও চিকিৎসা উদ্দিপন করতে সম্প্রদায়ে ব্যবহার করেন। ত্রিফলা বিভিন্ন উপকারিতা বিশিষ্ট হিসাবে পরিচিত যেমন পাচন সাহায্য, স্বাস্থ্যকর গাইড, প্রতিরোধশীলতা উন্নতকরণ ইত্যাদি। ত্রিফলা একটি প্রাকৃতিক উপাদান, এবং অনেক লোক এটি স্বাস্থ্য উন্নত করতে সমর্থ হবে বলে বিশ্বাস করেন।

এটি পাচন সাহায্য করতে সহায়ক, বুদ্ধিমত্তা উন্নত করতে সহায়ক, ত্বকের স্বাস্থ্য বাড়ানোর সাথে সাথে বিভিন্ন অন্যান্য উপকারিতা উল্লেখযোগ্য হতে পারে। তবে, স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কোনো উপায় অথবা পদক্ষেপে আমরা সাধারণত কোনো প্রকারের "গ্যারান্টি" প্রদান করি না। প্রত্যেকের শারীরিক ও চিকিৎসাগত অবস্থা আলাদা হতে পারে, এবং প্রতিটি ব্যক্তির প্রতিক্রিয়া এবং প্রতিক্রিয়া ভিন্ন হতে পারে।

সুতরাং, যেকোনো নতুন পৌষ্টিক উপাদান বা চিকিৎসামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করার আগে কোনো চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই প্রাপ্ত করা উচিত। আবারও বলা যায়, অনেকে এই প্রাচীন উপাদানের ব্যবহারে সন্তুষ্ট এবং তাদের স্বাস্থ্য উন্নতি দেখতে বলে বিশ্বাস করেন। কিন্তু, এই ধরনের ধারণা অনুসারে অবিশ্বাস্য নয় এবং কোনো ভাবেই আমি বা অন্য কোনো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম স্বাস্থ্য সম্পর্কে যেকোনো ধরণের গ্যারান্টি দেয় না।

আমলকি, বহেরা ও হরিতকী ( ত্রিফলা ) উপকারিতা

আমলকি, বহেরা, ও হরিতকী তিনটি প্রাচীন আয়ুর্বেদিক উপাদান যা অধিকাংশই স্বাস্থ্য উন্নতির জন্য ব্যবহৃত হয়। এই উপাদানগুলি মূলত প্রাকৃতিক এবং উপকারী উপাদানগুলির সৃষ্টি করে।

আমলকি, হরিতকী ও বহেরার উপকারিতা

তিনটি এই উপাদানের উপকারিতা নিম্নে উল্লেখ করা হলো:

  • আমলকি (আমলা): আমলকি বা আমলা একটি বিশেষজ্ঞতা পূর্ণ ফল যা বহুধাতুকে ধারণ করে। এটি মস্তিষ্ক যেন একটি তেজস্বি করে, চিত্ত পরিষ্কার এবং সম্পূর্ণ শরীরের ব্যবহার করে। আমলকি পুনরুত্সর্জন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং রক্ত শরীরের ব্যবহার করে প্রতিরোধশীলতা বৃদ্ধি করে।
  • বহেরা: বহেরা একটি প্রাকৃতিক ঔষধ যা শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করে। এটি রক্ত পরিষ্কারক হিসাবে কাজ করে এবং শরীরের প্রতিরোধশীলতা বৃদ্ধি করে। বহেরা স্মৃতি ও বুদ্ধিমত্তা উন্নত করে এবং মানসিক অবস্থার উন্নতি সাধনে সাহায্য করে।
  • হরিতকী: হরিতকী প্রাচীন আয়ুর্বেদিক ঔষধ যা শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করে। এটি রক্ত পরিষ্কারক হিসাবে কাজ করে এবং ব্যক্তির প্রতিরোধশীলতা বৃদ্ধি করে। হরিতকী শারীরিক ও মানসিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং শারীরিক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

এই উপকারিতা ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে উপাদানগুলি স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

 ত্রিফলা খাওয়ার নিয়ম

ত্রিফলা বেশ কয়েকটি নিয়মে খাওয়া যায় । তো চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই সব নিয়ম:

  • ঠান্ডা পানি

এক গ্লাস পানিতে ২ চা চামচ ত্রিফলার গুঁড়ো মিশিয়ে নিন এবং সারারাত রেখে দিন।সকালে ঘুম থেকে ওঠে খালি পেটে পান করুন।

  • ত্রিফলা, মধু এবং দারুচিনি

 এক গ্লাস পানিতে ১ চা চামচ ত্রিফলার  গুঁড়ো ও এক পিচ ছোট দারুচিনি মিশিয়ে সারারাত রেখে দিন। সকালে ১ চা চামচ মধু মিশান এই মিশ্রণের সাথে এবং খালি পেটে পান করুন।

  • ত্রিফলা ট্যাবলেট

বেশ কিছু কোম্পানির ত্রিফলা ট্যাবলেট পাওয়া যায়। এই ট্যাবলেটটি রাতে ঘুমানোর আগে কুসুম গরম পানি দিয়ে খান।

  • ত্রিফলা চা

আপনি ত্রিফলা চা বানিয়ে পান করতে পারেন। চা তৈরির জন্য এক কাপ গরম পানিতে এক চামচ ত্রিফলা গুঁড়ো দিন। কিছু সময়ের জন্য এটি জ্বাল করুন তারপর এটি একটি মগে ঢেলে এবং চায়ের মতো পান করুন। লেবুর রস মেশাতে পারেন।

লেখকের মন্তব্য

আমলকি, হরিতকী ও বহেরা ( ত্রিফলা ) উপকারিতা সম্পর্কে জেনেছি। ত্রিফলা আসলেই সুস্থতার গ্যারান্টি এই কথাটা সত্য। এই পোস্টে ত্রিফলার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করেছি। কতটুকু করতে পেরেছি জানি না। মানুষ ভুলের ঊর্দ্ধে নয় তেমনি আমারও ভুল হতে পারে আমার ভুল গুলো ক্ষ্মার দৃষ্টিতে দেখবেন এবং আমাকে কিছু সৎ পরামর্শ দিবেন যেন আমি আপনাদের আরও ভালো ভালো পোস্ট লিখতে পারি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আরব্লগস আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url