প্রতিদিন কতটুকু কালোজিরা খাওয়া উচিত
কালজিরা খাওয়ার উপকারিতা, এটির উপাদান, এটির ঔষুধি গুণাগুণ এবং কালজিরার পুষ্টিগুণ ও উপকারি উপাদান সম্পর্কে জানব। আশা করি পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন চলুন শুরু করা যাক।
পোস্ট সূচিপত্রঃ প্রতিদিন কতটুকু কালোজিরা খাওয়া উচিত
- ভূমিকা
- কালজিরার মধ্যে যেসব উপাদান রয়েছে
- কালোজিরাতে কি কি রাসায়নিক উপাদান রয়েছে
- কালোজিরার ঔষধি গুণাগুণ
- প্রতিদিন কতটুকু কালোজিরা খাওয়া উচিত
- কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম
- প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা
- কালোজিরার ৩৭টি স্বাস্থ্য উপকারিতা
- প্রতিদিন কালোজিরা খেলে কি ক্ষতি হয়
- কালোজিরা খাওয়ার অপকারিতা
- শেষ কিছু কথা
ভূমিকা
কালোজিরার ইংরেজি প্রতিশব্দ( Nigella এবং kalonji) এটি একটি মাঝারি আকৃতির মৌসুমী গাছ, এ গাছে একবারই ফুল ও ফল হয়। এর বৈজ্ঞানিক নাম হল Nigella Sativa Linn. এর দুই ধরনের ফুল হয় স্ত্রী ও পুরুষ। এর রং বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। এর রং সাধারণত নীলচে ও সাদা বেশি দেখা যায় (জাত বিশেষে হলদে ভাব দেখা যায়), এরফুল পাঁচটি পাপড়ি বিশিষ্ট হয়।
আরো পড়ুনঃ
কিডনির পয়েন্ট কত হলে ডায়ালাইসিস করতে হয়
এর বীজ সাধারণত তিন কোনা আকৃতির কালো রঙ্গের হয়ে থাক। এর ফল গোলাকার হয় এবং প্রতিটি ফলে প্রায়( ২০-২৫)টি বিজ থাকে। কালোজিরা চিকিৎসার পাশাপাশি মসলা হিসেবেও ব্যাপকভাবে ব্যবহার হয়ে থাক।এর বীজ থেকে পাওয়া যায় তেল যা কালোজিরা তেল নামে পরিচিত।
কালোজিরা তেলও বিভিন্ন উপকারে আসে। যেমন চুলে ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ হয়, চুলকে কালো ও ঘন করে। তবে প্রতিদিন কতটুকু কালোজিরা খাওয়া উচিত এবং প্রতিদিন কালোজিরা খেলে কি ক্ষতি হয়। এ বিষয়গুলো আমরা বিস্তারিত জানবো।
কালোজিরার মধ্যে যেসব উপাদান রয়েছে
কালোজিরাতে আছে আয়রন, ফসফেট এবং ফসফরাসের মতো বিভিন্ন উপকারী উপাদান। এছাড়াও এতে রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধক উপাদান, ক্যারোটিন ও বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধকারী উপাদান এবং গ্যাসট্রিকের প্রতিষেধক উপাদান। এর প্রধান উপাদান গুলোর মধ্যে আমিষ ২১ ভাগ, শর্করা ৩৮ ভাগ, স্নেহ ও চর্বি ৩৫ ভাগ, এছাড়াও ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ আছে।
এছাড়াও, প্রতি গ্রাম কালজিরায় প্রোটিন ২০৮ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন বি১ ১৫ মাইক্রোগ্রাম, নিয়াসিন ৫৭ মাইক্রোগ্রাম, ক্যালসিয়াম ১.৮৫ মাইক্রোগ্রাম, আয়রন ১০৫ মাইক্রোগ্রাম, ফসফরাস ৫.২৬ মিলিগ্রাম, কপার ১৮ মাইক্রোগ্রাম, জিঙ্ক ৬০ মিলিগ্রাম, ফলাসিন ৬১০ আই ইউ। আরো উপাদানের মধ্যে নিগেলুন, থাই মকুইনোন এবং ফিক্সড অয়েল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
কালজিরা তেলে রয়েছে লিলোনিক অ্যাসিড, ফলিক এসিড, ফসফেট, লৌহ , ফসফরাস, কার্বোহাইড্রেট, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম, সেলেনিয়াম, ভিটামিন এ ভিটামিন -বি ভিটামিন বি টু এবং প্রচুর পরিমাণে উপকারী উপাদান রয়েছে।
কালোজিরাতে কি কি রাসায়নিক উপাদান রয়েছে
কালোজিরাতে বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান রয়েছে যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য গুণকারী
হতে পারে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাসায়নিক উপাদানের উল্লেখ নিম্নলিখিতঃ
- প্রোটিনঃ কালোজিরা একটি প্রাকৃতিক উচ্চ প্রোটিনের উৎস, যা মাংস, মাছ, ডাল ইত্যাদির পরে একটি ভাল প্রোটিনের উৎস হিসাবে পরিগণিত হয়। প্রোটিন মানুষের শরীরের উপকারিতা বৃদ্ধি করে এবং মাংসপেশী উন্নত করে।
- ফ্যাটঃ কালোজিরার তেলে অতিরিক্ত মৌলিক অম্ল, বৃহত্তম অমেগা-৩ এবং অমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা মানুষের চোখের স্বাস্থ্য, মস্তিষ্কের উন্নত করে এবং হৃদয়ের স্বাস্থ্য উন্নত করে।
- ভিটামিনঃ কালোজিরা ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ ধারণ করে, যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য গুণকারী।
আরো পড়ুনঃ
বাংলা সার্চ ইঞ্জিন কয়টি - বাংলা সার্চ ইঞ্জিন কোনটি
- খনিজঃ কালোজিরাতে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, আয়োডিন এবং জিংক পাওয়া যায়, যা মানুষের স্বাস্থ্য উন্নত করে।
- অ্যামিনো অ্যাসিডঃ কালোজিরাতে প্রোটিন থাকা সাথে সাথে বিভিন্ন অ্যামিনো অ্যাসিড পাওয়া যায়, যা মানুষের প্রোটিন এবং মৌলিক অম্ল প্রোডাকশনে সহায়ক হতে পারে।
- ফাইবারঃ কালোজিরা ফাইবারের ভাল উৎস, যা পেটের অপসারণ বা ডাইজেশনকে সহায়তা করতে পারে এবং ত্রুটি হতে পারে।
এই রাসায়নিক উপাদানগুলি কালোজিরার স্বাস্থ্যকর উপকারিতা নিশ্চিত করে। তবে, স্বাস্থ্যগত অবস্থা, অল্প ও শুধু কালোজিরা খেতে নির্ভর করে না, তাই সম্পূর্ণ এবং বিস্তারিত আহারের মধ্যে এটি যোগ করা উচিত।
কালোজিরার ঔষধি গুণাগুণ
কালোজিরা অনেক ধরনের ঔষধিগুণে সমৃদ্ধ। এই গুণাবলী অন্যান্য খাবারে পাওয়া যায়না এবং স্বাস্থ্যকর উপকারিতা সম্পর্কে বিশেষভাবে পরিচিতি রয়েছে। কালজিরায় প্রায় ১০০টি পুষ্টিগুণ এবং উপকারি উপাদান রয়েছে।
- ভিটামিন ও মিনারেলসঃ কালোজিরা ভিটামিন (এসে, কে, সি, বি-১, বি-২, বি-৩, বি-৬) এবং মিনারেলস (আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক) এর ভাল উৎস। এই সারমর্মসতা শরীরের প্রতিটি অংশের সুস্থ পরিস্থিতি বজায় রেখে সক্ষম।
- প্রোটিনঃ কালোজিরা উন্নত প্রোটিনের উৎস, যা শরীরের শিক্ষা ও পুনর্নিমাত কাজে গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমিনো অ্যাসিডের ভাল উৎস এবং ত্বক, নখ, মাংস এবং অঙ্গরক্ষা ও পুনর্নিমাত সুষ্ঠ প্রোটিন সারমর্মসতা প্রদান করতে সক্ষম।
- আন্টি-অক্সিডেন্টঃ কালোজিরা অন্তত ৩০ টির বেশি আন্টি-অক্সিডেন্ট অন্তর্ভুক্ত করে, যা বিভিন্ন অস্থায়ী মতিক্ষুদ্রতা এবং অস্থিরতা বানানোর জন্য প্রতিরোধ করে।
- ফাইবারঃ কালোজিরা অতিরিক্ত ফাইবার ধারণ করে, যা পাচনের জন্য উপকারী এবং রক্ত চিতচিত্ত প্রবহনের জন্য সাহায্য করতে পারে।
- হৃদরোগ প্রতিরোধঃ কালোজিরা হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে এবং চলতি হৃদরোগের ঝুঁকি নিমেষ করতে সাহায্য করতে পারে।
এই গুণাবলী প্রাকৃতিকভাবে শরীরের সুস্থ অবস্থা বজায় রেখে আরোন্নত শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
প্রতিদিন কতটুকু কালোজিরা খাওয়া উচিত
স্বাস্থ্যকর পুষ্টিকর খাবারের পরিমাণের জন্য কালোজিরা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি বিশেষভাবে ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন, ও মিনারেলসে সমৃদ্ধ, যা আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় পরিমাণ সরবরাহ করে। তবে, প্রতিদিন কতটুকু কালোজিরা খাওয়া উচিত তা দেখতে হলে আমাদের জন্য কিছু পারামর্শ অনুসরণ করা প্রয়োজন।
প্রথম পারামর্শ হলো আমাদের শারীরিক অবস্থা। যদি আমাদের শারীরিক কার্যক্ষমতা উচ্চ হোক, আমরা প্রায় আরও বেশি পরিমাণের খাবার পরিবেশন করতে পারি। তবে, যদি আমাদের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যের অবস্থা সাম্প্রতিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে অবলম্বন করে, তাহলে আমরা একটি পরিমিত পরিমাণ খাবার পরিবেশন করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ
আমলকি, হরিতকি ও বহেরার ( ত্রিফলা ) উপকারিতা
দ্বিতীয় পারামর্শ হলো আমাদের পুর্নোত্তর প্রতিদিনের পুষ্টির প্রয়োজনীয় পরিমাণ এবং খাবারের মধ্যে পরিমাণের বিভিন্ন উপাদানের সমতা। যদি আমরা প্রতিদিনের পুষ্টিতে একটি পরিমিত পরিমাণের খাবার গ্রহণ করি, তাহলে আমরা সঠিক প্রতিদিনের পুষ্টি প্রাপ্ত করতে পারি।
সেজন্য আমাদের প্রতিদিন কতটুকু কালোজিরা খাওয়া উচিত সেই সম্পর্কে জানা। সাধারণত, প্রতিদিন প্রায় ১৫ গ্রাম থেকে ৩০ গ্রাম কালোজিরা খাওয়া উচিত হতে পারে। এই পরিমাণ কালোজিরা আপনার প্রোটিন, বিটামিন, ও মিনারেলসে সমৃদ্ধ পুষ্টিকর উপকারিতা প্রদান করবে এবং সাধারণত দিনের পুষ্টিকর খাবারের পরিমাণের মধ্যে থাকবে।এই পরিমাণের কালোজিরা আপনার দৈনন্দিন প্রোটিনের প্রয়োজনীয়তা পূরণে সাহায্য করবে এবং আপনার প্রতিদিনের পুষ্টি প্রাপ্তি করতে সাহায্য করবে।
কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম
প্রতিদিন কতটুকু কালোজিরা খাওয়া উচিত আমরা সেই সম্পর্কে জেনেছি। এখন আমরা জানবো কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম।কালোজিরাকে আমরা সবাই চিনি এবং এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে অনেকেই জানি। ইংরেজিতে কালোজিরাকে Nigella Sativa Linn বলা হয়। বাঙালি সিঙ্গারা থেকে শুরুক করে বিভিন্ন খাবারে কালোজিরা ছাড়া চলেই না। কালোজিরা আয়ুর্বেদিক ইউনানি এবং কবিরাজি ওষুধে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
এটি মসলা হিসাবে অত্যধিক জনপ্রিয়।ইসলামে কালোজিরা তাৎপর্য বোঝানোর জন্য বলা হয়েছে যে, তোমরা কালোজিরা ব্যবহার করবে কারণ এটি মৃত্যু ব্যতীত সমস্ত রোগের সমাধান করে। বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে যে কালোজিরা একটি সুপার ফুট।
এটিতে মানবদেহের জন্য সকল পুষ্টি রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের খাদ্যে ব্যবহার করা ছাড়াও, তেল কালোজিরার বীজ থেকে তেল পাওয়া যায়।যা মানুষের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। কালোজিরা খাওয়ার কোন সঠিক নিয়ম নেই। আপনি যখন ইচ্ছে খেতে পারবেন তবে পরিমাণ মত খেতে হবে।
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা
কালোজিরা, যা ইংরেজিতে নিয়ারেল বা নিগেল সিড় বলা হয়, খুবই পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যকর। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কালোজিরা খাওয়ার অনেক স্বাস্থ্যগত উপকার থাকতে পারে। কালোজিরা খাওয়ার মাধ্যমে আপনি নিম্নলিখিত উপকার পাবেন:
- প্রোটিন সরবরাহঃ কালোজিরা প্রোটিনের একটি ভাল উৎস, যা খালি পেটে খাওয়া আপনার দিনের শুরুতেই প্রোটিনের প্রয়োজনীয় পরিমাণ পূরণ করতে সাহায্য করবে।
- হৃদয়ের স্বাস্থ্য উন্নত করাঃ কালোজিরার তেলে অমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা হৃদয়ের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং হৃদয়ের রোগের ঝুঁকি কমিয়ে তুলতে সাহায্য করে।
- ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করাঃ কালোজিরার তেলে বিভিন্ন প্রকারের পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে যা ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করে।
- কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণঃ কালোজিরার তেলে অমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও ফাইবার রয়েছে, যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- শক্তি ও বৃদ্ধি করাঃ খালি পেটে কালোজিরা খাওয়া আপনার শরীরের প্রাণিক শক্তিকে বৃদ্ধি করে এবং দিনের সমস্ত কাজে আপনাকে সক্রিয় রাখে।
- উচ্চ প্রোটিন ও ভিটামিন সূত্রঃ কালোজিরা প্রোটিনের একটি ভাল উৎস এবং ভিটামিন এ ও এ, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং জিংক সহ বিভিন্ন খনিজ সরবরাহ করে।
- শরীরের অস্থিপঞ্জরঃ কালোজিরার খাবারে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম থাকায় এটি অস্থিপঞ্জরের উন্নত কাজের একটি উৎস।
- এন্টিব্যাক্টেরিয়াল ও এন্টিফাঙ্গাল গুণঃ কালোজিরার তেলে প্রাকৃতিক এন্টিব্যাক্টেরিয়াল ও এন্টিফাঙ্গাল গুণ থাকায়, এটি বিভিন্ন জিবির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
- জ্বর ও মলেরিয়ার রোগে সাহায্যঃ কালোজিরার তেলে উচ্চ পরিমাণে থাইমোকুইনোন থাকায়, এটি জ্বর ও মালেরিয়া রোগে সাহায্য করতে পারে।
কালোজিরার ৩৭টি স্বাস্থ্য উপকারিতা
অনিরাপদ অণুজীবকে হত্যা করা থেকে শুরু করে দেহকে কোষ ও কোষের বিকাশে সহায়তা করে, কালোজিরা সাহায্য করে। শুধু সুস্থতার জন্য নয়, কালোজিরা চুল এবং ত্বকের জন্যও অত্যন্ত সহায়ক। প্রত্যেকের রান্নাঘরে কালোজিরা থাকে যা খাবারে স্বাদ যোগ করে। আজকে কালোজিরার ৩৭টি স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে বলব।
০১। স্মরণ শক্তি বৃদ্ধিঃ প্রতিদিন এক চা-চামচ পুদিনাপাতার রস বা কমলার রস বা এক কাপ রঙ চায়ের সাথে এক চা-চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে দিনে তিনবার করে নিয়মিত খান যা দুশ্চিন্ত দূর করবে। কালোজিরা নিজেই একটি অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিসেপটিক। মস্তিস্কের রক্ত সঞ্চলন বৃদ্ধির মাধ্যমে স্মরণ শক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। কালোজিরা খেলে আমাদের দেহে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয়। এতে করে মস্তিস্কের রক্ত সঞ্চলন বৃদ্ধির হয়। যা আমাদের স্মৃতি শক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।
০২। মাথা ব্যাথায়ঃ কালোজিরার তেল মাথায় ভালোভাবে মালিশ করতে হবে এবং এক চা চামচ কালোজিরার তেল সমপরিমাণ মধুসহ প্রতিদিন দিনে তিনবার করে ২/৩সপ্তাহ সেবন করুন।
০৩। সর্দি ভালো করতেঃ এক চা চামচ কালোজিরার তেল সমপরিমাণ মধু বা এক কাপ রং চায়ের সাথে মিশিয়ে দিনে ৩বার খান এবং মাথায় ও ঘাড়ে সর্দি ভালো না হওয়া পর্যন্ত মালিশ করতে হবে। এছাড়া এক চা-চামচ কালোজিরার সঙ্গে মধু তিন চা-চামচ ও দুই চা-চামচ তুলসী পাতার রস মিশিয়ে খেলে জ্বর, ব্যথা, সর্দি-কাশি দূর হয়। সর্দি বসে গেলে কালিজিরা বেটে কপালে লাগান। তার সাথে পরিষ্কার পাতলা কাপড়ে কালোজিরা বেঁধে শুকতে থাকুন, সর্দি তরল হয়ে ঝরে পড়বে। আরো দ্রুত ভাল করতে বুকে ও পিঠে কালিজিরার তেল মালিশ করুন।
০৪। বাতের ব্যাথা দূরীকরণেঃ এক চা-চামচ কাঁচা হলুদের রসের সাথে সমপরিমাণ কালোজিরার তেল সমপরিমান মধু বা এক কাপ রং চায়ের সাথে দৈনিক ৩বার করে ২/৩ সপ্তাহ সেবন করুন। আক্রান্ত স্থানে ধুয়ে পরিষ্কার করে তাতে মালিশ করুন।
০৫। বিভিন্ন প্রকার চর্মরোগ সারাতেঃ আক্রান্ত স্থানে ধুয়ে পরিষ্কার করে তাতে মালিশ করুন। এক চা-চামচ কাঁচা হলুদের রসের সাথে সমপরিমাণ কালোজিরার তেল সমপরিমান মধু বা এককাপ রং চায়ের সাথে দৈনিক ৩বার করে২/৩ সপ্তাহ সেবন করুন।
০৬। হার্টের বিভিন্ন সমস্যার ক্ষেত্রেঃ এক চা-চামচ কালোজিরার তেল সহ এক কাপ দুধ খেয়ে দৈনিক ২বার করে ৪/৫ সপ্তাহ সেবন করুন এবং শুধু কালোজিরার তেল বুকে নিয়মিত মালিশ করতে হবে।
০৭। ব্লাড প্রেসারনিয়ন্ত্রনে রাখতেঃ প্রতিদিন সকালে রসুনের দুটি কোষ চিবিয়ে খেয়ে এবং সমস্ত শরীরে কালোজিরার তেল মালিশ করে সূর্যেরতাপে কমপক্ষে আধাঘন্টা অবস্থান করতে হবে এবং এক চা-চামচ কালোজিরার তেল সমপরিমাণমধুসহ প্রতি সপ্তাহে ২/৩ দিন খান যা ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে। এছাড়া কালোজিরা বা কালোজিরা তেল ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তের শর্করার মাত্রা কমিয়ে দেয় এবং নিম্ন রক্তচাপকে বৃদ্ধি করে ও উচ্চ রক্তচাপকে হ্রাস করে।
০৮। পাইলস রোগ নিরাময়েঃ এক চা-চামচ মাখন ও সমপরিমাণ তিলের তেল, এক চা-চামচ কালোজিরার তেল সহ প্রতিদিন একবার খালি পেটে ৩/৪ সপ্তাহ সেবন করুন।
০৯। শ্বাস কষ্ট বা হাঁপানি রোগ নিরাময়েঃ আপনারা অনেকেই হাঁপানী বা শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে ভুগে থাকেন তাদের জন্য কালোজিরা অনেক বেশি উপকারী। প্রতিদিন কালোজিরার ভর্তা রাখুন খাবার তালিকায়। কালোজিরায় হাঁপানি বা শ্বাস কষ্টজনিত রোগ ভাল হবে। এছাড়া ১ চা-চামচ কালোজিরার তেল, ১ কাপ দুধ চা বা রং চায়ের সাথে দৈনিক ৩বার করে নিয়মিত সেবন করুন।
১০। ডায়বেটিক নিয়ন্ত্রণেঃ ডায়াবেটিস রোগ উপশমে বেশ কাজে লাগে কালোজিরা। এক চিমটি পরিমাণ কালোজিরা এক গ্লাস পানির সঙ্গে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেয়ে দেখুন, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এছাড়া এক চা-চামচ কালোজিরার তেল, এক কাপ রং চা বা গরম ভাতের সাথে মিশিয়ে দৈনিক ২বার করে নিয়মিত সেবন করুন। যা ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে ১০০ ভাগ কার্যকরি।
১১। জৈব শক্তি বৃদ্ধির জন্যঃ কালোজিরা নারী- পুরুষ উভয়ের যৌনক্ষমতা বাড়ায়। প্রতিদিন কালোজিরা খাবারে সাথে খেলে পুরুষের স্পার্ম সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং পুরুষত্বহীনতা থেকে মুক্তির সম্ভাবনা তৈরি করে। মধ্যপ্রাচ্যে প্রচলিত আছে যে, কালিজিরা যৌন ক্ষমতা বাড়ায় এবং পুরুষত্বহীনতা থেকে মুক্তি দিতে সহায়তা করে। একচা-চামচ মাখন, এক চা-চামচ জাইতুন তেল সমপরিমাণ কালোজিরার তেল ও মধুসহ দৈনিক ৩বার৪/৫ সপ্তাহ সেবন করুন। তবে পুরানো কালোজিরা তেল স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক।
১২। অনিয়মিত মাসিক স্রাব মেহ/প্রমেহ রোগের ক্ষেত্রেঃ এক কাপ কাঁচা হলুদের রস বা সমপরিমাণ আতপ চাল ধোয়া পানির সাথে এক চা-চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে দিনে ৩বার করে নিয়মিত সেবন করুন যা ১০০% কার্যকরী।
১৩। দুগ্ধ দান কারিনীমাদের দুধ বৃদ্ধির জন্যঃ যেসব মায়েদের বুকে পর্যাপ্ত দুধ নেই, তাদের মহা ঔষুধ কালোজিরা। মায়েরা প্রতি রাতে শোয়ার আগে ৫-১০ গ্রাম কালিজিরা মিহি করে দুধের সঙ্গে খেতে থাকুন। মাত্র ১০-১৫ দিনে দুধের প্রবাহ বেড়ে যাবে। এছাড়া এ সমস্যা সমাধানে কালোজিরা ভর্তা করে ভাতের সঙ্গে খেতে পারেন। এছাড়া এক চা-চামচ কালোজিরার তেল সমপরিমাণ মধুসহ দৈনিক ৩বার করে নিয়মিত সেবন করুন। যা শতভাগ কার্যকরী।
১৪। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতেঃ ত্বকের গঠনের উন্নতি ও ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধির জন্য কালোজিরা অত্যাবশ্যকীয়। এতে লিনোলেইক ও লিনোলেনিক নামের এসেনশিয়াল ফ্যাটি এসিড থাকে যা পরিবেশের প্রখরতা, স্ট্রেস ইত্যাদি থেকে আপনার ত্বককে রক্ষা করে এবং ত্বককে সুন্দর করে ও ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে। মধু ও কালোজিরার পেস্ট বানিয়ে ত্বকে লাগিয়ে আধাঘন্টা বা একঘন্টা রাখে ধুয়ে ফেলুন, এতে ত্বক উজ্জ্বল হবে।শুষ্ক ত্বকের জন্য কালোজিরার গুঁড়া ও কালোজিরার তেলের সাথে তিলের তেল মিশিয়ে ত্বকে লাগান। এক সপ্তাহের মধ্যে পরিবর্তন দেখতে পাবেন।
১৫। গ্যাষ্ট্রীক বা আমাশয় নিরাময়েঃ এক চা-চামচ তেল সমপরিমাণ মধু সহ দিনে ৩বার করে ২/৩ সপ্তাহ খান।
১৬। জন্ডিস বা লিভারের বিভিন্ন সমস্যা দূরীকরণেঃ একগ্লাস ত্রিফলার শরবতের সাথে এক চা-চামচ কালোজিরার তেল ৪/৫ সপ্তাহে দিনে ৩বার সেবন করুন।
১৮। শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি করতে কালোজিরাঃ দুই বছরের অধিক বয়সী শিশুদের কালোজিরা খাওয়ানোর অভ্যাস করলে দ্রুত শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি ঘটে। শিশুর মস্তিষ্কের সুস্থতা এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতেও কালোজিরা অনেক কাজ করে। দুই বছরের কম বয়সের বাচ্চাদের জন্য কালোজিরার তেল খাওয়া উচিত নয়। তবে শরীরে ব্যবহার করা যাবে।
১৯। মাথা ব্যথা দূর করতেঃ মাথা ব্যথায় কপালে উভয় চিবুকে ও কানের পার্শ্ববর্তি স্থানে দৈনিক ৩/৪ বার কালোজিরা তেল মালিশ করলে উপকার পাওয়া যায়।
২০। স্বাস্থ্য ভাল রাখতেঃ মধুসহ প্রতিদিন সকালে কালোজিরা সেবনে স্বাস্থ্য ভালো থাকে ও সকল রোগ মহামারী হতে রক্ষা পাওয়া যায়।
২১। হজমের সমস্যা সমধানেঃ হজমের সমস্যা সমধানে এক-দুই চা-চামচ কালোজিরা বেটে পানির সঙ্গে খেতে হবে। এভাবে প্রতিদিন দু-তিনবার খেলে এক মাসের মধ্যে হজমশক্তি বেড়ে যাবে। পাশাপাশি পেট ফাঁপাভাবও দূর হবে।
২২। লিভার ভালো রাখতেঃ লিভার ভালো রাখতে কালোজিরা অনন্য। লিভার ক্যান্সারের জন্য দায়ী আফলাটক্সিন নামক পদার্থ ধ্বংস করে কালোজিরা।
২৩। চুল পড়া বন্ধ করতেঃ কালোজিরা খান চুল পর্যাপ্ত পুষ্টি পাবে। ফলে চুল পড়া বন্ধ হবে। আরো ফল পেতে চুলের গোড়ায় এর তেল মালিশ করতে থাকুন।
২৪। দেহের সাধারণ উন্নতিঃ নিয়মিত কালোজিরা সেবনে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে সতেজ করে ও সার্বিকভাবে স্বস্থ্যের উন্নতি সাধন করে। এছাড়া অরুচি, পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া, আমাশয়, জন্ডিস, জ্বর, শরীর ব্যথা, গলা ও দাতের ব্যথা, পুরাতন মাথা-ব্যথা, মাইগ্রেন, চুলপড়া, খোসপ্যাঁচড়া, শ্বেতি, দাদ, একজিমা, সর্দি, কাশি, হাঁপানিতেও কালোজিরা অব্যর্থ ঔষধ হিসেবে কাজ করে।
২৫। দাঁত ব্যথা দূরীকরণেঃ দাঁতে ব্যথা হলে কুসুম গরম পানিতে কালোজিরা দিয়ে কুলি করলে ব্যথা কমে; জিহ্বা, তালু, দাঁতের মাড়ির জীবাণু মরে।
২৬। শান্তিপূর্ণ ঘুমের প্রয়োজনেঃ মাথায় তেল ব্যবহারের ফলে রাতভর প্রশান্তিপর্ন ঘুম হয়।
২৭। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কালোজিরাঃ কালোজিরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। নিয়মিত কালোজিরা খেলে শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সতেজ থাকে। এতে করে যে কোন জীবানুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে দেহকে প্রস্তুত করে তোলে এবং সার্বিকভাবে স্বস্থ্যের উন্নতি করে। ১ চামচ কালোজিরা অথবা কয়েক ফোটা কালোজিরার তেল ও ১চামচ মধুসহ প্রতিদিন সেবন করলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।
২৮। পারকিনসন্স রোগের প্রতিকারেঃ কালোজিরায় থাইমোকুইনিন থাকে যা পারকিনসন্স ও ডিমেনশিয়ায় আক্রান্তদের দেহে উৎপন্ন টক্সিনের প্রভাব থেকে নিউরনের সুরক্ষায় কাজ করে।
২৯। চুলের বৃদ্ধিতেঃ কালোজিরার তেল চুলের কোষ ও ফলিকলকে শক্তিশালী করে যার ফলে নতুন চুল সৃষ্টি হয়। এছাড়াও কালোজিরার তেল চুলের গোড়া শক্ত করে ও চুল পড়া কমায়।
৩০। কিডনির পাথর ও মূত্রথলিঃ কালোজিরা ২৫০ গ্রাম ও সমপরিমাণ বিশুদ্ধ মধু। কালোজিরা ভালোভাবে গুঁড়ো করে মধুর সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে দুই চামচ মিশ্রণ আধাকাপ গরমপানিতে মিশিয়ে প্রতিদিন আধাকাপ তেল সহ পান করতে হবে। কালোজিরার তেল মধুসহ দিনে ৩/৪ বার ১৫ ফোটা সেবন করতে পারেন।
৩১। চোখের ব্যথা দূর করতেঃ রাতে ঘুমোবার আগে চোখের উভয়পাশে ও ভুরুতে কালোজিরা তেল মালিশ করুন এবং এককাপ গাজরের রসের সাথে একমাস কালোজিরা তেল সেবন করুন। নিয়মিত গাজর খেয়ে ও কালোজিরা তেল খেয়ে আর তেল মালিশ করে উপকার হবে।
৩২। উচ্চরক্তচাপেঃ কালোজিরা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে কারণ এটি অনেক উচ্চ প্রোটিন, ফাইবার, বিটামিন, এবং মিনারলস সম্মত কাঁচা খাবার। এটি প্রকৃতির স্বাভাবিক রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে কারণ এটি প্রোটিনের উৎস, যা মাংস, মাছ, ডাল ইত্যাদি প্রোটিনের উৎসে সাথে সাথে শরীরের প্রোটিনের প্রয়োজন পূরণ করে। তাছাড়া, ভিটামিন এ ও সি, আয়রন ও ফোলিক এসিড থেকে এই খাবার গুণগতভাবে ধনাত্মক উপকার পূর্ণ।
৩৩। ডায়রিয়াঃ মুখে খাবার স্যালাইন ও হোমিও ওষুধের পাশাপাশি ১ কাপ দই ও বড় এক চামচ কালোজিরা তেল দিনে ২ বার সেব্য।
৩৪। জ্বরঃ সকাল-সন্ধ্যায় লেবুর রসের সাথে ১ চামচ কালোজিরা তেল খান আর কালোজিরা তেল নাকের মধ্যে গ্রহন করুন। কালোজিরা ও লেবুর তেল (অ্যাসেটিকঅ্যাসিড) সংমিশ্রন করে দেয়া যেতে পারে।
৩৫। স্নায়ুবিক উত্তেজনাঃ কফির সাথে কালোজিরা সেবনে স্নায়ুবিক উত্তেজনা দূর হয়।
৩৬। উরুসদ্ধি প্রদাহঃ স্থানটি ভালোভাবে সাবান দিয়ে ধুয়ে নিয়ে ৩ দিন সন্ধ্যায় আক্রান্ত স্থানে কালোজিরা তেল লাগান এবং পর দিন সকালে ধুয়ে নিন।
৩৭। আঁচিলঃ হেলেঞ্চা দিয়ে ঘষে কালোজিরা তেল লাগান। হেলেঞ্চা মুল আরক মিশিয়ে নিলেও হবে। সাথে খেতে দিন হোমিও ওষুধ।
প্রতিদিন কালোজিরা খেলে কি ক্ষতি হয়
কালোজিরা একটি স্বাস্থ্যকর খাবার হিসাবে মর্যাদা করা হতে পারে, তবে যদি এটি
মাত্র সঠিক পরিমাণের চেয়ে বেশি খেয়ে থাকেন তাহলে কিছু ক্ষতির সম্মুখীন হতে
পারেন। কিছু সম্ভাব্য ক্ষতি নিম্নরূপ:
- ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকিঃ কালোজিরা প্রায় প্রোটিন এবং ফ্যাট উভয়ে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে, যা যদি আপনি বেশি পরিমাণে খেতেন তাহলে আপনার ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকি বা ওবেসিটি হতে পারে।
- গ্যাস ও পেট সম্পর্কিত সমস্যাঃ কালোজিরা ধারালো প্রোটিন ও ফাইবার ধারণ করে, যা কিছু মানুষের ক্ষেত্রে পেটে গ্যাস বা পেট সম্পর্কিত সমস্যা তৈরি করতে পারে।
- অ্যালার্জি ও অনুকূলতাঃ কিছু মানুষের কালোজিরা খেলে প্রতিক্রিয়া হতে পারে, যা হতে পারে অ্যালার্জি বা অনুকূলতা সৃষ্টি করতে পারে।
- কোলেস্টেরল এবং ত্রিগ্লিসেরাইড প্রতিরোধের ঝুঁকিঃ কালোজিরা প্রায় বৃদ্ধিশীল ফ্যাট রয়েছে, যা যদি আপনি উচ্চ কোলেস্টেরল বা ত্রিগ্লিসেরাইডের ধারণ করেন তাহলে এই সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।
আরো পড়ুনঃ ক্রিয়েটিনিন কমানোর হোমিও প্যাথি ঔষুধ
তবে, এই সমস্যাগুলি মূলত খাবার পরিবর্তনের ব্যতিত অন্যান্য কারণের সাথে জড়িত
হতে পারে এবং এটি ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যের অবস্থা, আহার সংস্কার, ওজন
ব্যবস্থাপনা এবং অন্যান্য পরামর্শের সাথে সংযোগিত। সবসময় খেতে অতিরিক্তভাবে
উপলব্ধ হওয়া খাবার এবং স্বাস্থ্যগত সমস্যার ঝুঁকি হতে পারে। সেই সমস্যা থেকে
নিজেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য স্বাস্থ্যকর ও বিস্তারিত খাদ্য পরিবর্তন করা
উচিত। সম্পূর্ণ সহযোগিতা ও নিয়মিত চিকিত্সার সাথে যুক্ত করা সর্বোত্তম।
কালোজিরা খাওয়ার অপকারিতা
কালোজিরা খাওয়ার কিছু অপকারিতা হতে পারে যদিও এগুলি সাধারণভাবে খালি পেটে এক্ষেত্রে একটি স্বাস্থ্যকর উপাদান হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এই অপকারিতা সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি হতে পারে:
- অ্যালার্জিঃ কিছু মানুষের কালোজিরা খাওয়ার পরে অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া হতে পারে, যা ত্বকে লালচে এবং চার্ম উত্তেজনার সাথে মিলে যাওয়া সহ অন্যান্য অসুখের দিকে প্রকাশ পেতে পারে।
- পেট সম্পর্কিত সমস্যাঃ কালোজিরাতে অনেক পরিমাণ প্রোটিন এবং ফাইবার উভয়ে রয়েছে, যা কিছু মানুষের পেটে গ্যাস এবং স্থল বান্ধবনের সমস্যা তৈরি করতে পারে।
- মেটালিক অস্মক্ষতিঃ কিছু মানুষের কালোজিরা খাওয়ার পর কিছু মেটালিক অস্মক্ষতির সমস্যা হতে পারে, যেমন মুখের কোয়ালিটির মেটালিক অস্মক্ষতি বা বাগান্তির অস্মক্ষতি।
- ওজন নিয়ন্ত্রণঃ কালোজিরাতে অনেক পরিমাণে ফ্যাট এবং উচ্চ ধারণ প্রোটিন বিশেষত প্রোটিন জন্য সেরা হিসাবে পরিগণিত হয়, তবে যদি ব্যক্তি এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খায় তাহলে ওজন নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হতে পারে।
-
অস্থিবাধাঃ যদি ব্যক্তি কালোজিরা অতিরিক্তভাবে খায় তবে তার অস্থির
জন্য ক্ষতি হতে পারে। এই জন্য আমাদের পরিমাণ মতো কালোজিরা খাওয়া উচিত।
এগুলি সাধারণভাবে খালি পেটে এক্ষেত্রে মাত্র কালোজিরা খেলে একটি স্বাস্থ্যকর উপাদান হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তবে, স্বাস্থ্য পরামর্শ প্রদানের জন্য যেকোনো ধরণের খাবার পরিমার্জন করা উচিত।
শেষ কিছু কথা
আমার এই পোস্টে কালোজিরা কি, প্রতিদিন কতটুকু কালোজিরা খাওয়া উচিত, কালোজিরার খাওয়ার নিয়ম, কালোজিরার উপকারিতা, মানুষের শরীরের জন্য কত উপকারি এবং কালোজিরার ৩৭টি উপকারিতা তুলে ধরেছি। জানি না কতটুকু তুলে ধরতে পেরেছি। কোন মানুষ ভুলের ঊর্দ্ধে নয় সে জন্য আমারও ভুল হতে পারে। আশা করি আমার ভুল গুলি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
প্রিয় পাঠকগণ আমার ভুলগুলি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার পাশাপাশি আমায় কিছু সৎ
পরামর্শ দিয়ে যাবেন।যাতে করে আমি আপনাদের জন্য আরো ভালো ভালো পোস্ট
লিখতে পারি। আশা করি আমার এই পোস্টটি আপনারা মনোযোগ সহকারে পরেছেন এবং উপকৃত
হয়েছেন। আপানারা উপকৃত হলেই আমার লেখা সার্থক। সকলকে ধন্যবাদ এতক্ষণ আমার
সাথে থাকার জন্য।
আরব্লগস আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url